একটি সন্ধ্যে বেলার গল্প।
কারন অনেকদিন পর দেখা হচ্ছে তার সাথে আমার। খুবই এক্সাইটেড ছিলাম আমি। ইদানীং সে আমায় মজা করে বলে তার একটা মেয়ে বান্ধবী নাকি আমার সাথে কথা বলবে, আমারতো অনেক সুন্দরী বান্ধবী, সে তো সুন্দর না এইসব হাবিজাবি। এইসব নিয়ে কথাবার্তা বলতে বলতেই এক সময় সে আমাকে বলল, যখন সে ক্লাস নাইন টেনে পড়ে তখন সে একটা ইংলিশ প্রাইভেট পড়তো এক ভাইয়ার কাছে। ওই ভাইয়া নাকি তার সাথে ফেইসবুক এ চ্যাট এবং সেই অনুষ্ঠানের দিন কথা বলতে চাচ্ছে। সে কথা বলতে চাইনি বলে তাকে ওই ভাইয়া নাকি বেয়াদব বলেছে। আমি ওকে বললাম কেউ বেয়াদব বললেই তো আর বেয়াদব হয়ে যায় না।
ওই ছেলের সাথে কথা বলার জন্য সে আমার কাছে পারমিশন চাইল। বলল আমি পারমিশন দিলেই সে কথা বলবে নতুবা না। কথাটা শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি আমি যা বোঝানোর মত নয়। বুঝতে পারলাম কথা বলার আগ্রহটা একটু বেশি বলেই পারমিশন চাইছে সে।
মনে হচ্ছিলো যেন পিচ ঢালা হাইওয়ের ঠিক মাঝখানে অযত্নে খুঁড়ে রাখা ক্ষত বিক্ষত গর্তে, হাইওয়ের বিলুপ্তির মত আমিও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছি।
তবে আমি সত্যিই এই কথাটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।শূন্য ঘরের বদ্ধ জানালার কাঁচ ভেদ করে কেউ যেন আমায় বলছিল ওই ভাইয়া তার সাথে কথা বলতে চায় বাট সে না করে দিয়েছে। সে ওই ভাইয়ার সাথে কথা বলবে না, বলতেও চায়না, ইন্টারেস্ট ফিল করেও না এই ব্যাপারটা হয়তো সে আমার সাথে শেয়ার করবে।
কিন্তু কি অবাক কান্ড সে আমার কাছে ওই লোকটার সাথে কথা বলার জন্য পারমিশন চাইছে? তখন ঠিকই মনে হচ্ছিল যেনো মন খারাপের ঝাঁপি খুলে দিয়ে নিঃসঙ্গ এক চাঁদ ডেকে বলছে আমায় এ পৃথিবীতে মনের মত করে ভালোবাসার মানুষ বলতে কেউ নেই।
আমি তার কথায় পুরোই হতভম্ব হয়ে গেলাম, যে আমার সাথে এই বিষয় গুলো শেয়ার করার কথা, যাকে আমি এত ভালবাসি সে আমার সাথে শেয়ার না করে আমার কাছে পারমিশন চাইছে লোকটার সাথে কথা বলার? আমিও তাকে পারমিশন দিয়ে দিয়েছি। কারণ ভালোবাসার মানুষকে তো কখনো আর আটকে রাখা যায়না! মুক্ত পাখির মত মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে হয়, ভালোবাসাকে কি কখনো খাচার ভেতর বন্দি করে রাখা যায়? তাই আমিও তাকে বলেছি তোমার যা ইচ্ছে করো তোমার কথা বলতে মন চাইলে বলতে পারো। আমি কিছু মনে করব না! তুমি মুক্ত, তুমি স্বাধীন!
Comments
Post a Comment