আবার ঈমান আনো!
আমাদের সমাজে যা শুরু হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ঈমান ধরে রাখাটাই দুষ্কর ব্যাপার, রাস্তাঘাটে স্কুল-কলেজে বাসা বাড়িতে কোথাও ঈমান টিকিয়ে রাখার মত অবস্থা আর নেই। এই জামানায় ঈমান ধরে রাখা নীতি-নৈতিকতা ঠিক থাকা কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ বড় বড় টুপি দাড়ি পাঞ্জাবি জুব্বা পড়ে আছে, কিন্তু রাস্তাঘাটে মনে মনে উল্টোপাল্টা চিন্তার ফলে তার ঈমান ক্ষুন্ন হচ্ছে। সমাজের একজন ভালো মানুষ ভালো থাকতে পারছে না, একজন ভালো মানুষ ও যদি লোভনীয় কোন খারাপ কাজের সন্ধান পায় সে ভালো মানুষ খারাপ পথে চলে যায়। এই যুগে মধ্যযুগীয় কায়দায় মানুষ মানুষকে হত্যা করছে, খুন করছে, ধর্ষণ করছে, একজন ১২ বছরের মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে ১২ জন যুবকের দ্বারা। ছোট মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে, বাচ্চা মেয়ে যে কিছুই বোঝেনা সে ও ধর্ষিত হচ্ছে, যৌন কাজ চলছে মসজিদে, মন্দিরে, গির্জায় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে, সেই যৌনক্রিয়া আবার ভিডিও করে ভাইরাল করা হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। এই যুগকে বলা হচ্ছে আধুনিক যুগ! কিন্তু গভীর ভাবে চিন্তা করলে মনে হচ্ছে, এটা মোটেও আধুনিক যুগ নয় আমরা প্রযুক্তিতে আধুনিক হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমরা আমাদের মনটাকে ফেলে রেখেছে সে মধ্য যুগে। আদিম যুগে যেমন শুধু যৌনাঙ্গ ঢাকার জন্য কিছু একটা ব্যবহার করত, এই যুগেও দেখা যাচ্ছে ঠিক তাই! বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ঘাটলে দেখা যায় একজনের স্ত্রী চলে যাচ্ছে আরেক জনের হাজবেন্ডের সাথে, একজনের হাজব্যান্ড পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে গেছে আরেকজনের স্ত্রীর উপর। ঢাকার বেশির ভাগ জায়গায় দেখা যায় পরকীয়া কার্যকলাপ চলছে রমরমা ভাবে। এ যেন একটি স্বাভাবিক ঘটনা, স্বাভাবিক ব্যাপার। কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কবি নজরুলের সাথে সাথে বলতে হচ্ছে _
জাগ্রত কর মুক্ত হৃদয়,
আবার ঈমান আন!
ভালোভাবে বাঁচতে হলে আবার ঈমান আনুন নতুবা বেইমানের খাতায় নাম লিখিয়েই মরতে হবে, দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে একদিন।
জাগ্রত কর মুক্ত হৃদয়,
আবার ঈমান আন!
ভালোভাবে বাঁচতে হলে আবার ঈমান আনুন নতুবা বেইমানের খাতায় নাম লিখিয়েই মরতে হবে, দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে একদিন।
Comments
Post a Comment